বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি, গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, কৃষক-শ্রমিক, তরুণ-যুবক, ছাত্র শিক্ষক তথা সকল শ্রেণী পেশার সকল মানুষের প্রতি যে কোনো মূল্যে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল করার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের মহা সমাবেশে ঐক্যবদ্ধভাবে দলে দলে যোগ দিন। শপথ নিন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলমান এ আন্দোলন থামবে না। ২৮ অক্টোবরের মহা- সমাবেশের কর্মসূচি দাবি আদায়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের মহাযাত্রায় ভোট ডাকাত হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কর্মসূচির শেষের শুরু।
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভিডিও বক্তব্যে তিনি গণতন্ত্রকামী জগণের প্রতি এই আহবান জানান।
তিনি বলেন, মাফিয়া চক্রের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা না গেলে অদূর ভবিষ্যতে জনগণকে হয়তো নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের মতোই নিজ দেশে পরাধীনতার শৃঙ্খল পরে থাকতে হবে।
প্রায় ১৫ মিনিটের এই বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, বর্তমান নিশিরাতের সরকার, সংসদ এবং মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন বহাল রেখে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সুতরাং চিহ্নিত ভোট ডাকাত শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এই মুহূর্তে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের 'দফা এক দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ'।
তারেক রহমান বলেছেন, ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এই সমাবেশ সারাদেশের ভোটারদের মহাসমাবেশ। এই সমাবেশের প্রতি দেশের গণতন্ত্রকামী প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সহযোগিতা ও সমর্থন রয়েছে। এই সমাবেশে বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক শক্তিরও নৈতিক সমর্থন রয়েছে। এই সমাবেশ বিএনপির এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার সমাবেশ নয়।
তারেক রহমান বলেন, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ বারো কোটি ভোটারের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে আনার সমাবেশ। দুর্নীতিবাজ-লুটেরা-টাকাপাচারকারী-গুম-খুন-অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সমাবেশ। দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক এবং বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ও প্রসাশন দলীয়করণ মুক্ত করার সমাবেশ। দেশের কোটি কোটি কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য প্রতিদিন তিনবেলা খাবার নিশ্চিত করার সমাবেশ। সাংবাদিক, কলামিষ্ট, বুদ্ধিজীবীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সমাবেশ। এই সমাবেশ ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে প্রতি মানুষের জন্য দেশকে নিরাপদ করার সমাবেশ। ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী, উদ্যোক্তা-বিনিয়োগকারীকারীদের জন্য সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার সমাবেশ। দেশের প্রতি নারী এবং শিশুর নিশ্চিত নিরাপদ জীবনযাত্রা নিরাপদ রাখার সমাবেশ। দেশের সকল ছাত্র-ছাত্রী-তরুণ-তরুণী-তথা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার সমাবেশ। দেশের সকল শ্রেণী পেশার প্রতিটি নাগরিকের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সমাবেশ। সর্বোপরি, এই সমাবেশ দেশে মুক্তিযুদ্ধের মুলমন্ত্র সাম্য-মানবিক মর্যাদা-সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ।
তারেক রহমান আরো বলেন, একটি গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই সমাবেশে সফল করার বিকল্প নেই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, গনতন্ত্রকামী জনগণের আন্দোলন বানচাল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শেখ হাসিনার মাফিয়া চক্র। তারা গণ গ্রেফতার শুরু করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রেফতার নির্যাতনে ভয় পায় না। ভয় পায় না বলেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী চক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিএনপির প্রতিটি সমাবেশে লক্ষ লক্ষ জনগণের উপস্থিতি অব্যাহত রয়েছে।
সারাদেশে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী বিশেষ করে গায়েবি মামলার শিকার প্রায় ৪৩ লক্ষ নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রকামী জনগণ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। সুতরাং, ঘর থেকে গ্রেপ্তারবরণ কিংবা মিথ্যা মামলায় আদালতের বারান্দায় ঘুরে সময়ক্ষেপন নয়, এবার চূড়ান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। আর প্রতিবাদ নয়, এবার অসীম সাহস নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পালা।
তারেক রহমান বলেন, একজন গ্রেপ্তার হলে সঙ্গে সঙ্গেই আরেকজন নেতৃত্ব নিন-নেতৃত্ব দিন। ওরা আর কতজনকে গ্রেপ্তার করবে? ওরা আর কত মানুষকে জেলে পুরবে?
তারেক রহমান আরো বলেন, ৪৪ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতার ৬৮টি কারাগারে এরইমধ্যে লক্ষাধিক মানুষকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রকামী মানুষের ভিড়ে কারাগারগুলোতে এক অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যাদেরকে গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, এরা কেউ গুম-অপহরণ কিংবা চুরি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত নয়। তাহলে কেন অবৈধ গ্রেপ্তার?
সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে তারেক রহমান বলেন, এভাবে গণ গ্রেপ্তারের পরিণতি ভালো হবে না। অবিলম্বে বিএনপি এবং ভিন্ন দল ও মতের মানুষকে গণ গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে ২৮ অক্টোবরের আগেই কারামুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় কারাবন্দি এই মানুষেরাই আগামী ২৮ অক্টোবর দেশের ৬৮টি কারাগার থেকেই একযোগে গণতন্ত্র মুক্তির আওয়াজ তুলতে বাধ্য হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইতিহাসের এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি। দেশে এখন পাহাড়সম বৈষম্য। একদিকে লুটেরাদের রাজত্ব অপরদিকে লাঞ্চিত-বঞ্চিত মানুষের নিঃশব্দ কান্না।
তারেক রহমান বলেন, নিশিরাতের সরকারের এক মন্ত্রী বলেছে, দেশে নাকি এখন চার কোটি লোকের জীবনযাপনের মান ইউরোপের মতো। তাহলে বাকি ১৪ কোটি মানুষের জীবনযাপনের মান কোন দেশের মতো? দেশের অধিকাংশ মানুষকে এখন কেন বাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না কিনেই ফিরে আসতে হচ্ছে? অসংখ্য মানুষকে কেন অর্ধাহারে অনাহারে থাকতে হচ্ছে? কে দেবে এসব প্রশ্নের জবাব? বাস্তবতা হলো, দেশে এখন প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। একমাত্র কমেছে আওয়ামী নেতামন্ত্রীদের কথার দাম। কমেছে মানুষের মূল্য, মানবিক মর্যাদা। এর কারণ দেশ এখন মাফিয়া চক্রের কবলে।
বিএনপি চেয়ারম্যান বলেন, মাফিয়া চক্র অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে গিয়ে দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি যখন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের কাছ থেকে ফুলের তোড়া আর পুলিশের কাছ থেকে সহাস্যে তরবারি উপহার নেন, তখন আর বুঝতে বাকি থাকেনা, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু নষ্টই হয়ে যায়নি, এখন পচে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে গিয়ে মাফিয়া চক্র দেশে সুপরিকল্পিতভাবে সেনা হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনিবার্য সাক্ষী বিডিআর এর নাম-ঠিকানা, খোল নলচে পাল্টে দিয়েছে। দেশে বিদেশে র্যাব এবং পুলিশ বাহিনীকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী খুনি বাহিনী হিসেবে পরিচিত করানো হয়েছে। সবশেষে এবার দেশের আনসারবাহিনীও মাফিয়া চক্রের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী চক্র তাদের হীন দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে গণতন্ত্রকামী জনগণের পেছনে লেলিয়ে দিয়ে আনসারবাহিনীকেও ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের বাংলাদেশে জনগণের শাসন কায়েম করতে হলে প্রথমেই প্রতিটি নাগরিকের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিশ্চিন্তে নিরাপদে প্রতিটি নাগরিকের ভোট প্রয়োগের অধিকার, সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব যেমন নিরাপদ নয়, একইভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা, মানবাধিকার রক্ষা কিংবা টেকসই উন্নয়নও সম্ভব নয়।
তারেক রহমান বলেন, প্রতিটি নাগরিকের ভোট প্রয়োগের অধিকারই হচ্ছে নাগরিকদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা নাগরিকদের ভোটের অধিকার প্রয়োগের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্ধারিত ভোটের দিনের আগেই নির্লজ্জভাবে ১৫৪ জনকে বিনাভোটে এমপি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ওই নির্বাচনেও নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোট ডাকাতি হয়ে গিয়েছিলো। আত্মমর্যাদাহীন-মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভোট ডাকাতিতে সহযোগিতা করেছে বিশেষভাবে জনপ্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর একটি আওয়ামী সিন্ডিকেট।
তারেক রহমান বলেন, আবারো জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার আবারো জনগণের ভোট ডাকাতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এর আগে ২০১৪ কিংবা ২০১৮ একটি নির্বাচনেও জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পায়নি। নতুন ভোটাররাও ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় বারো কোটি ভোটারের মধ্যে গত ১৫ বছরে ভোটার তালিকায় এ পর্যন্ত যুক্ত হয়েছে নতুন প্রজন্মের প্রায় তিন কোটি ভোটার। ফ্যাসিস্ট হাসিনা আগের মতো এবারও যেন আপনার-আমার-আমাদের ভোট ডাকাতি করে নিয়ে যেতে না পারে এ জন্য আওয়ামী ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, লুন্ঠিত ভোটের অধিকার ছিনিয়ে আনতে হলে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের প্রায় তিন কোটি ভোটারকে জেগে উঠতে হবে। তরুণদেরকেই রাজপথে ভোটের অধিকার আদায়ের মিছিলের অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র-যুবক-তরুণদের সামনে নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকারকে পরাস্ত করে ৫২, ৭১, ৭৫ এর ৭ নভেম্বর কিংবা ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মতো আরেকটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করার এখনই সময়। তারুণ্যের সাহসী প্রতিরোধের সামনে কখনোই কোনো দেশে কোনো ফ্যাসিস্ট-ই টিকে থাকতে পারেনি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রবীনের বুদ্ধিদীপ্ত নির্দেশনা আর রাজপথে নবীনের দীপ্ত পদচারণার সামনে ফ্যাসিস্ট হাসিনাও টিকে থাকতে পারবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের মিছিল ঠেকাতে পুলিশের ইউনিফর্ম পরিয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া একটি আওয়ামী দুষ্ট চক্র বারবার জনগণের দিকে বন্দুক নিয়ে তেড়ে আসছে। তবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যে থাকা এই আওয়ামী দুষ্ট চক্রের সংখ্যা খুব বেশি নয়। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরা আওয়ামী দুষ্টচক্র এবার পিছু হটতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী এই আওয়ামী দুষ্ট চক্রটি ইতোমধ্যেই দেশে বিদেশে চিহ্নিত। দেশের জনগণ যেমন আওয়ামী দুষ্ট চক্রকে চিহ্নিত করেছে, বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তালিকায়ও রয়েছে এই দুষ্ট চক্রের নাম। তবে গণতন্ত্রকামী জনগণ বিশ্বাস করে, দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অধিকাংশ কর্মকর্তা-সদস্য জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের সঙ্গে একমত। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে জনপ্রশাসন কিংবা পুলিশবাহিনীর সদস্য এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যরাও ভোট দিতে পারেনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের লুন্ঠিত ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি রাজধানীসহ সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অসংখ্য মিছিল সমাবেশ করেছে। ভোটের অধিকার আদায়ের দাবিতে মিছিল সমাবেশ কোনো অপরাধ নয়। বরং ভোটাধিকারের দাবি আদায়ের মিছিলে বাধা দেয়া অপরাধ।
তারেক রহমান বলেন, জনপ্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, ভোটাধিকার আদায়ের মিছিল সমাবেশে বাধা দিয়ে নিজেদেরকে অপরাধে জড়াবেন না। গণতন্ত্রকামী জনগণ সন্ত্রাস সহিংসতায় বিশ্বাস করে না, তবে আক্রান্ত হলে গণতন্ত্রকামী জনগণের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
সারাদেশে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, শত জেল জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন উপেক্ষা করেও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক দায় থেকেই বিএনপি চলমান আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। কারণ, বাংলাদেশে যতবার গণতন্ত্র হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, প্রতিবারই গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত কিংবা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপিই নেতৃত্ব দিয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। মাদার অফ ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিলো, গণতন্ত্র বিকশিত হয়েছিল। একইভাবে গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দল এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আবারো দেশে গুম হয়ে যাওয়া 'গণতন্ত্র-মানবাধিকার-ভোটের অধিকার' আদায়ের চলমান আন্দোলনে বিএনপি রাজপথে রয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, আর সময়ক্ষেপণের সময় নেই। এখন চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের লড়াই। এরইমধ্যে স্লোগান উঠেছে , 'এবার আর ছাড় নাই / ভোটের অধিকার ফেরত চাই' ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য। আর চলমান আন্দোলন দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। অচিরেই গণতন্ত্রকামী মানুষের বিজয় নিশ্চিত হবেই হবে। ইনশাআল্লাহ।