বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বললেন, আলোচনা বা সংলাপ করতে কোন সমস্যা নেই; তবে তার আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের উদ্যোগে ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনই জাতীয় সংকট উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়। ওই সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সংলাপের জন্য কোন শর্ত দেয়া যাবে না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, চোর যদি গৃহস্থকে দরজা খোলা রাখার শর্ত দেয়, তাহলে কি মানা যাবে? শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাহলে তিনি কীভাবে সংলাপের জন্য শর্ত দেন?
আমির খসরু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর অনেক আন্দোলন হয়েছে; কিন্তু এবারের মত এত দল একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আর কখনো আন্দোলন করেনি। বাংলাদেশের মালিকানা ফিরে পেতে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করছে। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা আবার দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনবো।’
বিএনপি রাস্তায় নেমেছে, রাস্তায় থাকবে। জীবন দিয়ে হলেও আন্দোলন সফল হবে। নেতাকর্মীরা জীবন দিতে প্রস্তুত বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার আবার ভোটচুরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেশের মানুষকে নির্বাচনের বাইরে রেখে রাষ্ট্রের সব সংস্থাকে ব্যবহার করে একতরফা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে ক্ষমতাসীন দল। বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করছে সবচেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, এসব করে আর লাভ হবে না। মানুষ রাস্তায় নেমেছে তাদের অধিকার ফিরে পেতে। বিশ্ব বিবেক বাংলাদেশের মানুষের পাশে আছে। ভোটচুরির সুদুরপ্রসারী প্রকল্প ভেঙে ফেলতে হবে।
পঞ্চদশ সংশোধনী আওয়ামী লীগের আজীবন ক্ষমতায় থাকার সংশোধনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা বাতিল করে সারা জীবন ক্ষমতায় থাকার অপকৌশল করেছে। তারা অবৈধ-অসাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিলো। সংবিধানের কথা বলে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার। অসাংবিধানিক ভাবে আদালতের কথা না শুনে সংবিধান সংশোধন করেছিলো তারা।’
সংগঠনের সভাপতি জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, নৈতিক সমাজের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমসা আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক লুৎফুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।