image

 বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার ফ্যাসিস্ট শাসনের একটা অংশ। তাকে বসানোই হয়েছে একটা কারচুপির নির্বাচন করার জন্য। এদের কিছু বলে কোনো লাভ নেই। একটাই উপায় আছে, এই শাসনকে সরাতে হবে।

রোববার (৮ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এনডিএম পরিচালিত গবেষণাধর্মী সংস্থা গভার্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ (জিপিআর) আয়োজিত ‌‌‘গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, কাঠামোগত সংস্কার এবং প্রধান অংশীজনদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে এটা যারা ভাবছে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। তাই রাজপথেই ফয়সালা হবে। আগামী দিনে জাতীয় সরকার গঠিত হবে। কারণ দেশের যা অবস্থা সেখান থেকে তুলে যদি দেশকে একটা রাস্তায় আনতে হয় তাহলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, আদালত জামিন দেবে না, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে না, ব্যাংকগুলো লুটপাটের জন্যও কাউকে দায়ী করবে না কারণ আমরা একটা ফ্যাসিস্ট রেজিমের অধীনে আছি। এখানে আইনের শাসন প্রত্যাশা করলে কোন লাভ হবে না।

বিচারকেরাও এই প্রক্রিয়ার অংশ জানিয়ে তিনি বলেন, হিটলারের সময় আইন ছিল, যদি নাৎসি পার্টির সঙ্গে আইনের কোনো সংঘর্ষ হয় তাহলে নাৎসি পার্টি প্রাধান্য পাবে। মুসোলিনি, স্ট্যালিনের সময়ও এমনই নীতি ছিল। বাংলাদেশেও এখন এমন। অনেকে ১০ বছরেও জামিন পাচ্ছে না। এর সঙ্গে আইনের কোনো সম্পর্ক নেই। বিচারকরা মাস্টারের আনুগত্য প্রদর্শন করছে মাত্র।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের অধিকার আওয়ামীলীগের নেই জানিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে হয়েছিল। এটা বাতিল করতে হলেও সকলের ঐকমত্যে বাতিল করতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এককভাবে এটা বাতিল করল। এটা অবৈধ কাজ, এটা বাতিল করার তার অধিকার নেই।