বিএনপির রোডমার্চে যাওয়ার পথে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আহত হন এবং ১৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের বসুরহাট নতুন বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মি মো. শুভ (১৯), সুন্দলপুর ইউনিয়ন ৩নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা জাহেদুল হক শাহীন (১৮), রিয়াদ (২০), সাদ্দাম (২১), বাবু (১৯), শাওন (১৮), রকি (২০), সুজন (১৯), জিহাদ (১৭), উজ্জ্বল (১৫) সহ ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহত শুভ ও শাহীনকে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। অপরাপর আহত নেতাকর্মীরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কবিরহাট উপজেলা বিএনপির ৫শতাধিক নেতাকর্মী রোডমার্চে যোগ দেওয়ার জন্য গাড়ি বহর নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর গ্রামে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বাড়িতে যান। সেখান থেকে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ফেনীর রোডমার্চে যোগ দেওয়ার জন্য গাড়ি বহর নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে ফেনীর অভিমুখে যাত্রা করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী হাসনা জসীম উদদীন মওদুদ। গাড়ি বহরটি বসুরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছলে সরকার দলের নেতাকর্মীরা বিএনপির গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়। ভাঙচুর করা হয় ৪টি বাস, ১০টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও একটি পিকআপ।
হাসনা জসীম উদদীন মওদুদ বলেন, আমি শান্তিপূর্ণ ভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে গাড়ি বহর নিয়ে রোডমার্চে যাচ্ছিলাম। আমার গাড়ি বাস টার্মিনাল অতিক্রম করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বাড়ীর সামনে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গাড়ি বহরে হামলা করে। ওই সময় ১৫ গাড়ি ভাঙচুর করে এবং অনেক নেতাকর্মীদের আহত করা হয়। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।