বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমাদের দাবি একটাই, সরকারকে আমরা নির্বাচিত করিনি, তাই এ সরকারের পদত্যাগ চাই। যে সংসদের সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না, সেই সংসদ আমরা বাতিল চাই। আমরা জানি এই সরকারের অধীনে প্রত্যেকটা নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। কোনোটাই আসলে নির্বাচন হয়নি। রোববার (১ অক্টোবর) ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের ধলা এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ চিকিৎসা নিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের একটি নির্বাহী আদেশ বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করতে পারে ।
বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যেতে রাজি না উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার চাই। আমাদের বলা হয়, সংবিধানে নির্দলীয় সরকারের বিধান নেই। হ্যাঁ নেই, কারণ আপনারা নেই করে দিয়েছেন। এটা ছিল এবং আদালতের রায়েও ছিল আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। কিন্তু আপনারা মেনে নেননি।
তিনি আরও বলেন, অন্যায়ভাবে হাইকোর্টের রায় বিকৃত করে আপনারা সংবিধান সংশোধন করেছেন। যখন আপনারা বিরোধী দলে থাকেন, তখন এক মাগুরা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান এবং তা আদায়ের জন্য লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ পর্যন্ত মেরে ছিলেন।
বিএনপির এ নেতা খান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করছি। কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে রাজপথের আশেপাশে যারা বসবাস করেন তাদের আন্দোলনের সম্পৃক্ত করছি, জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি। কিন্তু রোডমার্চের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের আমরা শুধু এটুকু বলি, দেশের নাগরিকদের রাজনীতি করার এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের মৌলিক অধিকার রয়েছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যে শুধু জনগণের ভোট নিয়ে কারচুপি করছে শুধু তা নয়, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন শেয়ার বাজার লুট হয়, ব্যাংক লুট হয়, নিজেদের লোকজনকে টাকা বিদেশে পাচার করা হয়।
জনতার উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জীবনে কখনও শুনেছেন সেকেন্ড হোম? এ সরকারের আমলে শুনতেছি। জীবনে কখনও বেগম পাড়ার নাম শুনিনি, এখন শুনছি। জীবনে আমরা কখনও শুনিনি দুবাইতে গুলশান থ্রি, এ সরকারের আমলে শুনছি। কারা করছে এই সেকেন্ড হোম, বেগম পাড়া ও গুলশান থ্রিতে বাড়ি?