সরকার পতনের একদফা দাবিতে উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগের পর এবার ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত রোডমার্চ করেছে বিএনপি।
বৃস্পতিবার সকালে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে উদ্বোধনী সমাবেশের পর রোডমার্চ শুরু হয়ে গাড়ির বহর সিলেট পৌঁছতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। পথে মৌলভীবাজারের শেরপুরে বৃষ্টির কবলে পড়ে রোডমার্চের বহর। বৃষ্টি উপেক্ষা করে রোডমার্চের বহরকে স্বাগত জানান জেলার নেতারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের শেরপুরে তিনটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। রোডমার্চে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ ছাড়া ভৈরবে উদ্বোধনী ও সিলেটে সমাপনী সমাবেশ সহ ৫টি স্পটে বক্তব্য দেন বিএনপি’র সিনিয়র এই দুই নেতা।
ভৈরব থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ শেষে রাত ৮টায় সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত সমাপনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর রায় বলেন, আমরা এতদিন গণতান্ত্রিকভাবে পদযাত্রা, সমাবেশ, রোডমার্চ করেছি। এসব কর্মসূচিতে সরকার একদফা দাবি না মানলে সামনে ধাপে ধাপে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে হবে। হরতাল, অবরোধ সহ কঠোর কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত থাকুন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন- বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। অংশগ্রহণমূলক, সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন হতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে গণতন্ত্র থাকবে না। এজন্য কথা একটাই; শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।
সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাপনী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপি’র সভাপতি নাসিম হোসাইন। জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও নগরের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসাইনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট সিটি মেয়র ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ইনামুল হক চৌধুরী, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী সহ বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা।
সিলেটে বিকাল থেকে অঝোরধারায় বৃষ্টি ঝরছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাঠে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।