image

সরকার পতনের এক দফা দাবি নিয়ে বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচি ভৈরব বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়েছে। রোডমার্চের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 


বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড থেকে রোড মার্চ শুরু হয়। শেষ হবে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে। মাঝপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ মোড় ও মৌলভীবাজারের শেরপুরে তিনটি পথসভা হবে। ভৈরব থেকে সিলেট ১৫০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করবেন তারা।


উদ্বোধনী সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দাম দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। তারা বলছে তারা ক্ষমতায় না থাকলে নাকি ১০ লক্ষ মানুষ মারা যাবে। তবে তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ মারা যাবে। বাংলাদেশের জনগণ নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় আসবে। জনগনের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেন। জনগণ যদি আপনাকে মাফ করে আমাদেরকে কিছু বলার নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। আমরা এখনো হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি করি নাই। করবো না এটাও বলি নাই।


সমাবেশে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, রেজিম ক্ষমতায় রয়েছে। এরা দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিএনপিকে কর্মীশূন্য করার চেষ্টা চলছে। বিচার বিভাগের উপর বাংলাদেশ নয় বিদেশীদেরও আস্থা নেই।


তিনি বলেন, ভোট কারচুপি করতেই খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ।

 

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিশ্বের কোন গণতান্ত্রিক দেশ এই সরকারের সাথে নেই। যারাই দেশকে ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ অবস্থান নিয়েছে। দেশে যারা ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে।


সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, যত কিছু হোক শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। যারা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায় তাদের তালিকা করা হবে।


উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ থেকে সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করে বিএনপি।