image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগই এখন মানবাধিকার লংঘনের সঙ্গে জড়িত।

 

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত হয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, বিচারপতি এখন আর বিচারপতি হিসেবে নয়, নিজেদেরকে রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় দিয়ে গৌরব বোধ করছেন। এইসব বিবেকহীন বিচারপতিদের কারণে গণতন্ত্রকামী জনগণ দেশের বিচার বিভাগের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, সম্প্রতি বিশ্বের শতাধিক নোবেল বিজয়ীর বিবৃতি এবং মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব আদিলুর রহমান খানের বিরুদ্ধে বিচারের নামে অবিচারের পর আরো একদফা প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতি গণতান্ত্রিক বিশ্বেরও আস্থা নেই। অপ্রিয় হলেও সত্য দেশে-বিদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ বিশ্বাস করে ক্ষমতাসীন মাফিয়া সরকারের সহযোগী হয়ে দেশের বিচার বিভাগই এখন মানবাধিকার লংঘনের সঙ্গে জড়িত।

 

তারেক রহমান বলেন, দেশের রাজনীতি-অর্থনীতি-ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটেছে। একজন ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার খায়েশ মেটাতে দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশকে দেশে-বিদেশে হাসি-তামাশার খোরাকে পরিণত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ধূলিসাৎ করে দিয়ে জনগণ এখন নিজ দেশেই যেন পরাধীন।

 

তিনি বলেন, শিক্ষা দীক্ষা নয় মানবিক মর্যাদা হারিয়ে ভিসি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চা-সিঙ্গারা-সমুচার মধ্যে গৌরব খুঁজে বেড়ায়। আত্ম-মর্যাদা জলাঞ্জলি দিয়ে মাফিয়া চক্র 'সেলফি'র মধ্যে সাফল্য খুঁজে পায়। 

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে পড়া রাজশাহীর চারঘাট থানার ওসির মাদক ব্যবসা এবং চাঁদাবাজি সম্পৰ্কিত অডিও'র উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, কিভাবে নিরাপদে মাদক ব্যবসা করা যায় খোদ পুলিশ এখন সেই পথও বাতলে দিচ্ছে।    

 

তারেক রহমান বলেন, গুটি কয়েক লুটেরা দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ ছাড়া মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কোনো মানুষেরই কোনো নিরাপত্তা নেই।

 

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বাসাবাড়ি, উপাসনালয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হামলা চালিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী চক্র দেশে একদিকে ব্লেইম গেইমের অপরাজনীতি চালু করেছে। অপরদিকে, ছলচাতুরী করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকেনিজেদের করুনার পাত্র বানিয়ে রাখতে চাইছে। এর প্রমান, ফ্যাসিস্ট হাসিনার মাফিয়া সরকার গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বাসাবাড়ি, ধর্মীয় উপাসনালয়ে অসংখ্যবার হামলা চালিয়েছে। মামলা দিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত একটি ঘটনারও সুষ্ঠু বিচার করেনি।

 

বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আগামীতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জনরায়ে বিএনপি সরকার গঠন করার সুযোগ পেলে সিভিল সোসাইটি, সর্বদলীয় এবং সর্বধর্মীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বাসাবাড়ি, ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রতিটি হামলার ঘটনা উদ্ঘাটনে একটি নাগরিক তদন্ত কমিশন গঠন করবে। নাগরিক কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে আইন অনুযায়ী আদালতে প্রতিটি ঘটনার বিচার করবে। 

 

তারেক রহমান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য-মানবিক মর্যাদা-সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কিংবা সংশয়বাদী, প্রতিটি নাগরিক তাদের নিজ নিজ ধর্মীয়-রাজনৈতিক-সামাজিক অধিকারগুলো বিনাবাধায় স্বাচ্ছন্দে পালন করতে পারবেন এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মানের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন।

 

তিনি বলেন, কে মুসলমান কে হিন্দু-কে বৌদ্ধ কিংবা খ্রিষ্টান মুক্তিযুদ্ধের সময় কারো এমন জিজ্ঞাসা ছিলো না। অথচ, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় পরিচয়কে নিজেদের হীন দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের মানুষের মধ্যে অবিশ্বাসের বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়েছে। দেশে প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু করেছে। রাষ্ট্র ও সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে দ্বন্দ্ব ও বিভেদ-বিরোধ- হিংসা-ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়েছে। 

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি কখনোই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। ধর্মকে হীন দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে না, করবে  না। ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানাতে চায়না। বিএনপি বিশ্বাস করে দল-মত-ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। বিএনপি বিশ্বাস করে ধর্ম যার যার নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।

 

তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি-অবাঙালি বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের একটি গর্বিত পরিচয় নির্ধারণ করে

স্বাধীনতার ঘোষকের যুগান্তকারী রাজনৈতিক দর্শন, বাংলাদেশী জাতীয়বাদ। সুতরাং, পরিচয়ে সংখ্যালঘু নয় বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র গর্বিত পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।

 

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, 'এ বাংলাদেশ আপনার-আমার-আপনাদের- আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সকলক্ষেত্রে সমানাধিকার ভোগ করবে এটাই বিএনপি'র নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি'। 

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের রাজনীতি-অর্থনীতি-ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিটি ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত অবক্ষয় ঘটেছে। তবে অবৈধ ক্ষমতার নেশায় নিশিরাতের সরকার কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না।  

 

সারাদেশে ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি কেন মহামারী রূপ ধারণ করেছে এ নিয়ে নিশিরাতের সরকারের কোনো অনুশোচনা নেই। আওয়ামী লুটেরা চক্র সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশে বিরাজ করছে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি। দেশের কৃষক শ্রমিক, তরুণ, ছাত্র, যুবক, প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষ তথা অসহায় জনগণ, ফ্যাসিস্ট হাসিনার কবল থেকে মুক্তি চায়। 

 

তিনি বলেন, তবে জনগণের ভোটে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত জনগনণের কাছে জবাবদিহিতামূলক একটি সরকারের মাধ্যমেই অসহায় জনগণের মুক্তি সম্ভব। তাই, দেশের প্রায় বারো কোটি মানুষ যাতে নির্ভয়ে নিরাপদে দিনের বেলায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ এবং জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠন করতে পারে গণতন্ত্রকামী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই লক্ষ্যেই বিএনপি আন্দোলন করছে।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় রেখে, অবৈধ সরকার ও সংসদ এবং বর্তমান মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন বহাল রেখে কখনোই সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। ফলে, এই মুহূর্তে জনগণের দফা এক-দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

 

তিনি বলেন, এই দাবি আদায়ে সবাইকে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে শুধুমাত্র শ্লোগান দিয়ে ক্ষমতালোভী রক্ত পিপাসু ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে হটানোর দাবি আদায় করা যাবে না। 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কি শুধুই মাফিয়া চক্রের হামলা মামলা গুম খুন অপহরণের শিকার হবো নাকি দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথের দখল নেবো' বলেন তারেক রহমান। 

 

তারেক রহমান বলেন, 'স্বাধীনতার ঘোষকের নিখাদ দেশপ্রেম আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন সংগ্রামী চেতনাই চলমান আন্দোলনে আমাদের বিজয়ের প্রেরণা' তিনি আরো বলেন, 'আমরা জানি-মানি-বিশ্বাস করি মাফিয়া সরকারের সঙ্গে আপস করেননি বলেই বছরের পর বছর ধরে মাদার অফ ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া বিনাদোষে জালিমের ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে বন্দি'।

 

তিনি বলেন, চলমান আন্দোলন এককভাবে বিএনপি'র ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়। চলমান আন্দোলন, দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন। ১৮ কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আর বারো কোটি ভোটারের লুন্ঠিত ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।

 

তারেক রহমান বলেন, দাবি আদায়ে বিএনপি সারাদেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এলে মাফিয়া শক্তির পরাজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারণ, মাফিয়া চক্রের জন্য দেশে বিদেশে সবখানেই সবজায়গা সংকুচিত হয়ে আসছে।    

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একটি গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশের জন্য ৭১ সালের মতো, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের মতো আবারো দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠতে হবে। 

 

গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমীর এই শুভেচ্ছাবিনিময় অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে ঢাকার ইসকন মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিতরাসহ বাংলাদেশ পূজা পরিষদের নেতারা অংশ নেন। পরে জন্মাষ্টমীর প্রসাদ দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। তখন আমাদের লক্ষ্য ছিল একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র করবো। আজকে সেই গণতন্ত্রকে তারা (ক্ষমতাসীন সরকার) ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে।’

 

তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের দায়িত্ব হবে, এই দেশকে রক্ষা করা। এটা শুধু বিএনপির আন্দোলন নয়, এটা সব মানুষের আন্দোলন।’

 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি সাবেক সচিব বিজন কান্তি সরকার, ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুণ্ড, বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ টি এম আব্দুল বারী ড্যানী, অমলেন্দু অপু, সুশীল বড়ুয়া, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, তরুণ দে, মিল্টন বৈদ্য, মিতালী চক্রবর্তী প্রমুখ।

 

তারেক রহমান আরো বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় শাস্ত্রমতে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে হিন্দু ধর্মের অবতার শ্রী-কৃষ্ণ, কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি এমন একসময় 'মথুরা'য় জন্মগ্রহণ করেছিলেন যখন 'মথুরা'র শাসন ক্ষমতায় ছিল ক্ষমতা দখলকারী অত্যাচারী, নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী রাজা 'কংস' ।

 

তিনি বলেন, শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবের পর খুনি-স্বৈরশাসক 'রাজা কংস' ধ্বংস হয়। বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম ব্রত ছিল, 'দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন'।সুতরাং, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই নয় রাষ্ট্র ও সমাজে চলমান অন্যায় অবিচার, স্বৈরাচার-দুরাচার-অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলা, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি ধর্মীয় শিক্ষাও বটে। 

 

তারেক রহমান বলেনা, শুধু হিন্দু ধর্মই নয়, অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রতি ধর্মেরই অন্যতম মৌলিক শিক্ষা। প্রতি ধর্মই সাম্য, সম্প্রীতি ও মানবতার কথা বলে। মানুষের স্বাধীনতার কথা বলে। 


 


তিনি বলেন, রক্তপিপাসু অত্যাচারী 'রাজা কংসে'র মতোই এক খুনি 'কংস রানী'র হিংস্র থাবায় ক্ষত বিক্ষত প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই। মানবাধিকার নেই। মানুষের ভোটের অধিকার নেই। আইনের শাসন নেই।