image

দেশকে রক্ষা করতে তরুণদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

 

গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, জাফরুল্লাহ ভাই বলতেন, যারা যুবক আছে তাদেরকে বের করে নিয়ে আসো। তাদেরকে সামনে আনো। আমি আজকে তার কথার সঙ্গে সুর তুলে বলতে চাই, আসুন, এখন- সব যুবক ও তরুণদেরকে এদেশকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে হবে। এই জাতিকে রক্ষা করতে এখন তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

  

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সময় খুব কম। আসুন জেতার জন্য লড়াই করি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা এই সংগ্রাম ও লড়াই করি। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

 

সভায় মির্জা ফখরুলের কাছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, এগুলো উত্তর দিতে আমার রুচিতে আসে না। রুচিতে বাধে। আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই, তাদের এসব কথা বলে লাভ নাই। এখন মানুষ অন্তর থেকে পরিবর্তন চায়। প্রতি মুহূর্তে মানুষ এই সরকারকে সরিয়ে দিতে চায়। কারণ এখন মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তাদের চাল, ডাল ও কাপড়- প্রতিটি মুহূর্ত তাদের কাছে অসহনীয় হয়ে উঠছে।


জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, এই সরকার জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ভয় পেতেন। কি কথা বললে কি হবে, সেটা চিন্তা করে তিনি কথা বলতেন না। তিনি যেটা বিশ্বাস করতেন, সেটাই বলতেন। আর ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে আরেকটা জাফরুল্লাহ চৌধুরী আছে কি না, আমার সন্দেহ আছে।


আ স ম আবদুর রব বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকারকে তাড়াতে হবে। এজন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো মানুষকে দরকার। যাদের পিছুটান নেই এবং জীবনের মায়া করেন না। আজকে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে কি না, তা আমি জানি না। এই সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দিবে। বাংলাদেশকে বিক্রি করে দিবে। তাই আজকে গণজাগরণ হয়েছে। এখন গণঅভ্যুত্থান দরকার।


ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে আবদুর রব বলেন, এই সরকার নির্বাচন করতে পারবে না। তার আগেই চলে যেতে হবে। আর এই সরকার আপসে যাবে না। রক্ত খাবে। কতো রক্ত লাগবে। রক্ত আমরা দেবো।


ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু'র সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলতাফুন নেছা মায়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণফোরাম একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।