দেশের মানুষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘না’জানিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে এই রোদ-বৃষ্টির মধ্যে লাখো মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে, এদেশের মানুষ সরকারকে না জানিয়ে দিয়েছে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীতে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র গণমিছিল শেষে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি’র মহাসচিব এসব কথা বলেন।
একদফা দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে এবং একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
এসময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে আওয়ামী লীগের কেউ নিরাপদে থাকতে পারবে না। আমরা বলতে চাই- আওয়ামী লীগ যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশের একজন মানুষও নিরাপদে থাকতে পারবে না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকবে না। তাই এ আপদ বিদায় করতে হবে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার চক্রান্ত করছে। তাকে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। মনে রাখতে হবে খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই গণতন্ত্রের মুক্তি।
ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।
এ ছাড়া সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোহাম্মদ শাহজাহান, ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, আতাউর রহমান ঢালী, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরফত আলী সপু, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, শামা ওবায়েদ, আজিজুল বারী হেলাল, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, কাদের গণি চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী প্রমুখ।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ (নুর), গণঅধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া), লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য গণমিছিল করে। যুগপৎ আন্দোলনের শরিক এনডিএম ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলন করে।