বর্তমান সরকার ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, আমাদের সংবিধান মোতাবেক ৫টি মৌলিক বিষয় নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। তার অন্যতম হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। কিন্তু এই সরকার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পারেনি।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।
সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ডক্টরস এসোসিশেয়ন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান।
আব্দুল মঈন খান বলেন, তারা করোনার সময় মানুষকে টিকা দিতে পারেনি। অথচ এদেশের দরিদ্র মানুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ট্যাক্স দিয়ে এই সরকারকে জীবিত রেখেছে। কিন্তু মানুষের ট্যাক্সের টাকায় কেনা টিকা মানুষ পায়নি। তার কি জবাবদিহিতা করেছে সরকার? অথচ সরকারের এজেন্ডা থাকে জনকল্যাণ করা। জনগণের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটে একটি নির্দিষ্ট সময়ে তারা ক্ষমতায় আসেন। সেটাকেই বলে নির্বাচন। বিএনপি একসময় দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। আজকে বিরোধী দলে আছে। এই সরকার মানুষের সেবা না করলেও আজকে কঠিন অবস্থার মধ্যে বিরোধীদলে থেকে আমরা মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। কারণ সমাজ ও মানুষের জন্য কিছু করার মূল মন্ত্রদাতা হলেন জিয়াউর রহমান। তিনি এসব করতেন।
তিনি বলেন, আজকে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও বর্তমান সরকার ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তারা ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে উল্টো তাদের যে কাজ সেটি নিরীহ নাগরিকদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এটা নৈতিকতা বিরোধী। এর পেছনে রয়েছে সরকারের দুর্নীতি।