০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। জনগণের এ দাবি অসাংবিধানিক নয়। কারণ, সংবিধান অনুসারেই জাতীয় সংসদ হতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। কিন্তু ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের জনগণের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এটি স্পষ্টতই সংবিধানের লঙ্ঘন।
শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকামী জনগণের দাবি স্পষ্ট, অবৈধ সরকার, অবৈধ সংসদ এবং বর্তমান মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশনকে রেখে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
তারেক রহমান আরো বলেন, দেশের বর্তমান সংসদ, সরকার অবৈধ এটি এখন শুধু বাংলাদেশের জনগণই নয় বরং সমগ্র গণতান্ত্রিক বিশ্ব একই কথা বলছে। সম্প্রতি শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬০ জন নেতা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তারাও বিবৃতিতে স্পষ্টভাবেই বলেছেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের তথাকথিত সরকার-সংসদের বৈধতার সংকট রয়েছে। সুতরাং, এটি প্রমাণিত, দেশে বিদেশে বাংলাদেশের বর্তমান 'সরকার ও সংসদের' বৈধতার সংকট সর্বজন স্বীকৃত।
তারেক রহমান বলেন, অবৈধ সরকারের মুখে সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের দাবি উপেক্ষা করা মানায় না। জনগণ আশা করে, অবৈধ সরকার অযথা সংবিধানের দোহাই না দিয়ে অবিলম্বে জনগণের দাবি মেনে নেবে। কারণ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্ভব। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ যখনই সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, দেশে যখনই গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়েছে কিংবা গণতন্ত্র সংকটাপন্ন হয়েছে, প্রতিবারই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি বিএনপি যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে এবং এখনো রেখে চলছে। এটি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুথান, কিংবা বর্তমানে চলমান ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রমাণিত সত্য।
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূলধারা বিচ্যুত হয়ে দেশ এখন মাফিয়া চক্রের কবলে। বর্তমানে মাফিয়া চক্রের নির্মম থাবায় ক্ষত বিক্ষত মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য-মানবিক মর্যাদা-সামাজিক ন্যায় বিচার।
তিনি বলেন, মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব আদিলুর রহমান খান কিংবা ড. শহিদুল আলমের মতো দেশে বিদেশে সম্মানিত মানুষেরা এখন ন্যায়বিচারহীন বাংলাদেশে মানবিক মর্যাদা হারিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা মামলা মাথায় নিয়ে আদালতের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরছেন। অথচ, যারা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে টাকা পাচার করে বিদেশে বেগম পাড়া কিংবা সেকন্ড হোম গড়েছে, বেপরোয়া দুর্নীতিতে লিপ্ত রয়েছে, এখন তাদেরই দখলে দুদক, আদালত, সচিবালয়, গণভবন কিংবা বঙ্গভবন।
তারেক রহমান বলেন, একজন মাত্র ব্যক্তির ক্ষমতা লিপ্সার কারণে আজ গভীর সংকটে বাংলাদেশ। নির্যাতিত জনগন। একদিকে অর্থাভাবে, অর্ধাহারে, অনাহারে কাটছে দিনমজুর, কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের দিনকাল। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী দুর্নীতিবাজরা সিন্ডিকেট করে দেশে ডিম তেল চাল চিনি মরিচ পেঁয়াজ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাফিয়া সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেটে হাত দেয়া যাবেনা। অপরদিকে দলীয় দুর্নীতিবাজদের সিন্ডিকেট না ভেঙে বরং নানারকমের হাস্যকর পরামর্শ দিয়ে নিশিরাতের সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী জনগণের সঙ্গে রসিকতা করছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বছরের পর বছর ধরে বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে পেরে নিশিরাতের সরকার এখন কারো কাছেই কোনো জবাবদিহিতার পরোয়া করছেনা। দেশে প্রতি বছর/ ডেঙ্গু হানা দিয়ে কেড়ে নিচ্ছে অসংখ্য মানুষের প্রাণ। অথচ ডেঙ্গু মোকাবেলায় কোনো গবেষণা ও প্রস্তুতি না থাকায় ডেঙ্গু এখন মহামারী রূপ ধারণ করেছে।
তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরও মাফিয়া সরকারের নেতা কর্মীদের হুমকি-ধামকি আর বাচালতার কারণে নিশ্চুপ আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন সাধারণ মানুষ। এরপরও মানুষের টুটি চেপে ধরতে সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে আরো একটি কালো আইন জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশ এবং জনগণের এমন নাজুক পরিস্থিতিতে নির্যাতিত অবহেলিত জনগণের সামনে দেশের বিচার বিভাগ আশার আলো দেখাতে পারতো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য কতিপয় বিচারকের বক্তব্য মন্তব্য শুনলে মনে হয় এরা বিচারক নয় স্রেফ ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক। এদের কারণেই আদালত এখন আর গণতন্ত্রকামী জনগণের আশ্রয়স্থল নয় বরং আরেক 'আয়নাঘরে' পরিনত হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতাত্তোর সময়ের মতো আবারো নৈরাজ্যের অন্ধকারে বাংলাদেশ। কোনো একটি প্রতিষ্ঠানেও শৃঙ্খলা নেই।
তিনি বলেন, দুদককে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে আদালতে ন্যায়বিচার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে ভোট ডাকাতদের হাত থেকে নির্বাচন কমিশনকে মুক্ত করতে হলে দেশে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সর্বোপরি দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে মাফিয়া সরকারের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করাই এখন সময়ের দাবি। দাবি আদায়ে ইতোমধ্যেই স্লোগান উঠেছে দফা এক দাবি এক-ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদত্যাগ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গুম, খুন, অপহরণ সন্ত্রাসী হামলা, গায়েবি মামলা নির্যাতন নিপীড়নসহ শত বাধাবিঘ্ন মোকাবেলা করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা জনগণের বাংলাদেশ জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। চলমান এ আন্দোলন ১৮ কোটি মানুষের অধিকার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং প্রায় ১২ কোটি ভোটারের লুন্ঠিত ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন।
তারেক রহমান বলেন, চলমান এ আন্দোলন এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপির একক কোনো আন্দোলন নয়। এ আন্দোলনে বিএনপি একাও নয়। চলমান এ আন্দোলন, দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে, বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী/, কৃষক শ্রমিক দিনমজুর, ব্যাবসায়ী, ছাত্র, তরুণ, যুবক, শিশু ও নারী, প্রবাসী বাংলাদেশী অর্থাৎ সর্বস্তরের প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
তিনি বলেন, চলমান এ আন্দোলনে বাংলাদেশের পক্ষের, গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল সক্রিয়ভাবে রয়েছেন। আন্দোলনকারীরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি আদায় করে তবেই ঘরে ফিরবে। কারণ, একজন মাত্র ব্যক্তির ক্ষমতার লালসার কারণে বাংলাদেশ হেরে যেতে পারেনা। জনগণ পরাধীন থাকতে পারেনা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিএনপি দেশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের রক্ষক রাজনৈতিক দল, বিএনপি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ফসল। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল,মুক্তিযোদ্ধাদের দল।
গণতন্ত্রকামী জনগণের ত্যাগ তিতীক্ষা সমর্থন ও সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজো পর্যন্ত বিএনপিই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে তারেকরহমান বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব ও ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা। বিএনপির সংগ্রাম, সাফল্য ও গৌরব ও আত্মত্যাগের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
একই সঙ্গে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের অনিবার্য চরিত্র। তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া ১৯৭৮ সালে শুধু বিএনপিই প্রতিষ্ঠা করেননি, বিএনপি প্রতিষ্ঠার আগে দেশে আওয়ামী লীগসহ সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করে দেয়া সকল রাজনৈতিক দলকে স্বনামে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নৈরাজ্য কবলিত স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বহু দল- বহুমত-বহুপথ রচনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন।
সারা বাংলাদেশে বিএনপির জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, সরকারে কিংবা বিরোধী দল, প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেশনেত্রীর সাহসী, বিচক্ষণ ও আপোষহীন নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্ব দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষের ঘরে ঘরে বিএনপিকে পৌঁছে দিয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মজলুম নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ জালিমের ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে বন্দি। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, কি অপরাধ ছিল খালেদা জিয়ার? খালেদা জিয়ার একমাত্র অপরাধ তিনি দেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন দেখতে চেয়েছিলেন। স্বাধীন রাষ্ট্রে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের মুক্তি। আর গণতন্ত্রের মুক্তির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে খালেদা জিয়ার মুক্তি।
বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলন সংগ্রাম ত্যাগ তিতিক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেন, অতীতের মতো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনেও সারাদেশে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তির বিভিন্ন পর্যায়ের লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মী নির্যাতন -নিপীড়ণের শিকার হচ্ছেন। তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রের জন্য এই ত্যাগ ও অবদান ইতিহাসের পাতায় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আগামী দিনের গণতান্ত্রিক সরকারও গণতন্ত্রের জন্য গণতন্ত্রকামীদের এই ত্যাগ ও অবদান যথাযোগ্য মূল্যায়ন করবে, স্মরণ রাখবে।
জনপ্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারেক রহমান বলেন, 'আপনাদের অনেকেরই নিজস্ব রাজনৈতিক বিশ্বাস রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্বাস থাকা অন্যায় নয়। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রমে দলীয় বিশ্বাস নয় বরং জনগণের ইচ্ছা তথা দেশের স্বার্থের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
জনপ্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি তারেক রহমান আহবান জানিয়ে বলেন, 'আপনারা এবার সতর্ক থাকবেন যাতে অতীতের মতো ভবিষ্যতে আবারো ফাসিস্ট হাসিনা আপনাদেরকে জনগনের ভোট ডাকাতির সঙ্গে জড়িত করতে না পারে। আপনাদেরকে যাতে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাতে না পারে'।
আন্দোলনকারী জনগনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করতে চাই, 'আপনি যাতে দিনের বেলা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটটি নিজেই নিরাপদে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে দেয়ার অধিকার অর্জন করতে পারেন আপনার সেই গৌরবজনক ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই জনগণ আন্দোলন করছে। জনগণের এই আন্দোলন আপনাদের বিরুদ্ধে নয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনপ্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রত্যেক কর্মকর্তা ও সদস্যসদের প্রতি আমার আহবান 'আমাকে আপনার ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিন' -'আপনি আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ নিন'।
সারাদেশে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থক ও শুভাকাঙ্খীদের সতর্ক করে দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ক্ষমতাসীন অপশক্তি নানারকমের নোংরামি গুজব অপপ্রচার শুরু করেছে। অপপ্রচার গুজবে কান দেবেন না। ঐক্যবদ্ধ থাকুন। চোখ কান খোলা রাখুন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী অপশক্তির দিন দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে।
দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করে তারেক রহমানবলেন, 'আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী-মন্ত্রীর রাত কেটে ভোর আসে ক্ষমতা হারানোর এক অজানা আশংকায়। অপরদিকে, গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষের রাত কেটে নতুন সূর্যোদয় ঘটে একটি গণতান্ত্রিক ভোরের প্রত্যাশায়। গণতন্ত্রকামী জনগণের হারানোর কিছু নেই বরং মুক্তিকামী মানুষের বিজয় আসন্ন। ইনশাআল্লাহ।