image

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে শনিবার সারাদেশে শাক্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচী পালন করেন দলের নেতাকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে হামলা চালায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। পুলিশের গুলিতে প্রায় ৪ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। 


হবিগঞ্জে বিএনপি পদযাত্রায় পুলিশের গুলি: গুলিবিদ্ধসহ আহত শতাধিক: হবিগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রায় নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক গুলিবর্ষণ করেছে পুলিশ। পুলিশের গুলি ও হামলায় তিন শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।  পুলিশ কয়েকশ রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জনকে আটক করা হয়ে বাধা দেয়। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জিকে গউছ জানান, শনিবার কেন্দ্রীয় নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান সংঘর্ষ বাধিয়েছেন। কোনো উত্তেজনা ছিল না। তিনি হঠাৎ পুলিশকে গুলি ছোড়ার নির্দেশ দেন। পুলিশ দফায় দফায় গুলি ছুড়তে থাকে।  তিনি আরও বলেন, তারা আমার বাসায় এসেও গুলি ছুড়েছে। আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অনেককেই আমার ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে।


নাটোরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, আহত ১০

নাটোরে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রায় অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর মুখোশধারীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে পদযাত্রায় অংশ নিতে আসছিলেন কাফুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ তার অনুসারীরা। নাটোর চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে কালো রংয়ের দুটি গাড়ি থেকে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা ধারালো হাঁসুয়া ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপরে হামলা চালায়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের হামলা: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে দলটির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক বলেন, কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালনের জন্য আমরা অবস্থান করছিলাম। এ সময় পুলিশ এসে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা করে ও গুলি ছুড়ে। এতে আমাদের একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া আরও অনেকে আহত হয়েছেন। আহত নেতাকর্মীদের তালিকার কাজ সম্পন্ন হলে নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো। তবে আনুমানিক প্রায় ৩০ জনের মত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এরমেধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মুড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের ৪নং ওয়ার্ডের কোষাধ্যক্ষ আমজাদ মোল্লা (৪৮)।

 বরগুনা জেলা বিএনপির পদযাত্রায় অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এতে ৫০ থেকে ৬০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। আজ শনিবার এ ঘটনা ঘটে।

জেলা বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরগুনা জেলা বিএনপি বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয় থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে। শহরের প্রধান সড়ক ধরে সামনে আগাতে থাকলে শহরের পৌর সুপারমার্কেটের সামনে পুলিশ বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতা–কর্মীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের লাঠিপেটা ও ধাওয়া খেয়ে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। পরে তাঁরা সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।