বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে না পাঠালে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কায়ার্লয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘উন্নত চিকিৎসা না দিয়ে খালেদা জিয়াকে যারা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাদের দায়ভার বহন করতে হবে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে যদি উনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হয়, বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু চুপ করে থাকবে না।
‘আগামী ১৯ তারিখ আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি আছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে দেশনেত্রীর চিকিৎসার জন্য আরও কঠিন কর্মসূচি আসতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। সজ্ঞানে, ডাক্তারদের বারবার অনুরোধ করা স্বত্বেও তারা সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর দায় এই সরকার শুধু নয়, এই সরকারের সঙ্গে জড়িত যারাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা-বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে, যারা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছেন প্রত্যেককে এই দায় বইতে হবে আগামী দিনে।’
এ সময় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সবার তৈরি থাকতে হবে। দেশনেত্রীকে বাঁচাতে হবে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। মানবাধিকার, আইনের শাসন ফেরাতে হলে দেশনেত্রীকে বাঁচাতে হবে।
‘বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে দেশনেত্রীকে বাঁচাতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, উনি আবার রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে আসবে, লক্ষ-কোটি জনতার সামনে বক্তব্য রাখবেন।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরীর পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবদিন, আতাউর রহমান, খায়রুল কবির, আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, চিকিৎসক নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন। পরে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ নেসারুল হক খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।