বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গণমিছিল, লিফলেট বিতরণ ও পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য আগামী ১৬ আগস্ট সারাদেশে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
অবিলম্বে দেশনেত্রীর মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আগামী ১৭ আগস্ট সারাদেশে লিফলেট বিতরণ । অবৈধ, লুটেরা ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে আগামী ১৮ আগস্ট যুগপৎ আন্দোলনের ধারায় ঢাকা মহানগরসহ সকল মহানগরে গণমিছিল অনুষ্ঠানের কর্মসূচি পালন করা হবে। ১৯ আগস্ট সকল মহানগর ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে করবে বিএনপি।
নির্বাচনী মাঠ শূন্য করার কৌশল
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ‘নিশিরাতের’ সরকার যেভাবে নির্বাচনী মাঠ শূন্য করার কৌশল গ্রহণ করেছিল, বর্তমানে তারই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অদৃশ্য করা, গায়েবি মামলা দেওয়া, গণহারে গ্রেপ্তার, বাসায় বাসায় অভিযান, বিচারাধীন মামলায় জেলগেট থেকে বারবার গ্রেপ্তার কারাবন্দী করে রাখার খেলায় মেতেছে সরকার। মূলত ২০১৮ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি, এটি ছিল জনগণের সঙ্গে প্রতারণা এবং ভোটের নামে অভিনব প্রহসন।
জেলহাজতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ
রিজভী অভিযোগ করেন, জেলহাজতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের বেশ কিছু নেতা-কর্মী নির্যাতনে এবং বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। অথচ তাদের আমলে কারাগারে সবচেয়ে বেশি বিরোধী দলের নেতা-কর্মী বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছে। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর স্বাধীনতার ঘোষকের সহধর্মিণী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, ‘গণতন্ত্রের মা’ খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টুকে মায়ের জানাজায় অংশ নিতে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রিজভী। তিনি বলেন, প্যারোলের অনুমতি পাওয়া সত্ত্বেও মায়ের লাশ দেখতে দেওয়া হয়নি সাবেক মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুকে। প্যারোলে মুক্তির সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরেও জেলগেটে গাড়িতে ওঠানোর সময় তাঁকে আবার কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। ওপরের নির্দেশেই নাকি তাঁকে মায়ের জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। তিনি এ ঘটনাকে ‘ন্যক্কারজনক’ অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানান।