দুদকের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর সাজা দেওয়ার বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা বিচার বিভাগীয় রায় নয়; এটি একটি ফ্যাসিস্ট রেজিমের রায়। যারা জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতায় বসে আছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদ।
আমির খসরু বলেন, বিচার বিভাগ হলো— এখন পুলিশের এক্সটেনশন। তারা এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এটা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। দেশের পরিবর্তন করতে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে সাজা দিয়েছে, সেখানে বিচারকের করার কিছু নেই। কারণ এটা তো সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে আসে, যা সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা—এমনকি বর্তমান বিচারকরাও বলেছেন। সুতরাং তাদের কাছে কোনো প্রত্যাশা করে লাভ নেই।
বিএনপির অন্যতম এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, সাংবিধানিকভাবে সংবিধান সংশোধন করার কারণে দেশকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, সবই একাকার হয়ে গেছে। কারণ সত্যিকার অর্থে সাংবিধানিকভাবে দেশ পরিচালনা হলে ফ্যাসিস্ট রেজিমের অস্তিত্ব থাকবে না। অবৈধ সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না। এ জন্যই তারা জবাবদিহি চায় না।
তিনি বলেন, যারা ফ্যাসিস্ট, তারা তো স্বচ্ছতা চাইবে না। কারণ জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করতে হবে। ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে হবে। সে জন্যই তো রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা ব্যাংক লুট করে শেয়ারবাজার লুট করে। অথচ শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটি মুক্ত অর্থনীতি চালুর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করেছিলেন। এখন হচ্ছে আওয়ামী মডেল অর্থনীতি।
আমির খসরু বলেন, আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হলে এই ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিদায় ঘটাতে হবে। তারেক রহমানের ২৭ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র নতুনভাবে মেরামত করতে হবে। এ জন্য এই সরকারের বিদায় ছাড়া কোনো উপায় নেই।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ কিন্তু আজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায় চলে এসেছে। তা হলে বোঝা যায় দেশে ন্যায়বিচার হয় না। যার প্রমাণ তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাজা। কারণ জুবাইদা রহমানকে সরকার ভয় করে। আগামী নির্বাচনে তিনি এলে ভয়। কিন্তু এসব তো ভেসে যাবে। তা হলে জায়মা রহমানকে বাদ রাখলেন কেন? আপনি যার সঙ্গেই নির্বাচন করবেন, দাঁড়াতে পারবেন না। সুতরাং যা করছেন তার প্রতিদান পাওয়ার আগেই সরে দাঁড়ান।