image

বাংলাদেশের প্রতিবাদ

 ০৪ আগস্ট, ২০২৩

 জেরেমি লরেন্স

 জাতিসংঘের হাইকমিশনার।

বাংলাদেশ যেহেতু আগামী বছরের জানুয়ারিতে একটি সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমরা সকল রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করছি যাতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরোধীদলগুলোর বেশ কয়েকটি সমাবেশে সহিংস হামলা দেখা গেছে। সমাবেশগুলোতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করেছে। পুলিশের পাশাপাশি কিছু সাধারণ পোশাকধারীদেরও বিক্ষোভকারীদের মারতে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট এবং লোহার রড ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এসব সংঘর্ষে অনেক বিরোধীদলীয় সমর্থক ও কিছু পুলিশ আহত হয়েছেন। বিরোধীদলের সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করা হয়েছে। আবার আইন-প্রয়োগকারী সংগঠনের সদস্য পরিচয়ে তাদের বাড়িতে অভিযানও চালানো হয়েছে। এসব সমাবেশের আগে ও সমাবেশের সময় বিরোধীদলের শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাদের মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণকে তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করার অনুমতি দিতে হবে এবং তৃতীয় পক্ষের দ্বারা সেই অধিকারগুলির প্রয়োগকে দমন বা সীমিত করার প্রচেষ্টা থেকে রক্ষা করার জন্য কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। আমরা পুলিশকে তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করছি যে শুধুমাত্র কঠোরভাবে প্রয়োজন হলেই বল প্রয়োগ করা হয় এবং যদি তাই হয়, বৈধতা, সংযম এবং আনুপাতিকতার নীতিগুলির সাথে সম্পূর্ণ সম্মতি। অত্যধিক বল প্রয়োগের অবিলম্বে তদন্ত করা উচিত এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি করতে হবে।

আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই যেন আগামী বছরের নির্বাচনের আগে যারা রাজনৈতিক প্রচার শুরু করেছেন তাদের সবার জন্য একটি নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। তাদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে রাজনৈতিক বহুত্ব এবং ভিন্ন মতামত প্রকাশকে সম্মান জানাতে হবে।