image

সরকার পতনের একদফা দাবিতে শনিবার ঢাকায় বিরোধীদল বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের যৌথ হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জনগণকে বিক্ষোভ করার এবং তাদের দাবি আদায়ের পক্ষে কথা বলার সুযোগ সৃষ্টিতে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে দিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানিয়েছে দেশটি।

ঢাকায় বিরোধী দলের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের হামলা, সরকারের হার্ডলাইন নীতি প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সোমবার নিয়মিত ব্রিফ্রিংয়ে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক সহিংস পরিবেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু ভোট হতে পারেনা।

সহিংসতা, হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন এই মুখপাত্র।

ঢাকায় বিরোধী দলের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্রিফ্রিংয়ে বাংলাদেশের ক্রমাগত সংঘাতময় পরিস্থিতি এবং বিরোধীদল দলনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে স্টেট ডিপার্টমেন্ট সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, "ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভ করেছে লাখো লাখো মানুষ। গত শনিবারের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বিক্ষোভকারী এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে বলে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। আর এই হামলায় বিরোধীদলের অন্যতম নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ শত শত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সরকার স্পষ্টতই বিরোধীদলের বিরুদ্ধে যেভাবে হার্ডলাইন নীতি অবলম্বন করেছে এবং পুলিশ নিষ্ঠুরতা চালিয়ে যাচ্ছে- এই ক্রমাগত সংঘাতময় পরস্থিতিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে নিশ্চিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে?"

জবাবে মিলার বলেন, "বাংলাদেশে শনিবারের বিক্ষোভে যেভাবে ভীতি প্রদর্শন এবং রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বলবো তারা যেনো পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষভাবে এসব ঘটনার তদন্ত করে এবং এসবের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসে। বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে পারে, তাদের দাবির পক্ষে কথা বলতে পারে সেই নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।"

মুখপাত্র মিনার বলেন, "আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে আহবান জানাবো তারা যেনো মৌলিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনকে সম্মান করে এবং সহিংসতা, হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকে।"

নির্বাচন প্রসঙ্গে মিলার বলেন, "পরিশেষে বলবো সেটা হলো- নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হবার বিষয়টাতে সকলের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। ভোটার, রাজনৈতিক দল, তরুণ সমাজ এবং পুলিশের ভূমিকা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক সহিংসতার পরিবেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারেনা।"