বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিজেরা সন্ত্রাসী। সেজন্য রাষ্ট্রটাকেও সন্ত্রাসী বানিয়ে ফেলছে। এজন্য তারা রাষ্ট্রের যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করছে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে। আজ মঙ্গলবার এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে নয়া পল্টন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক মানববন্ধনে আয়োজন করে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ শিষ্টাচার জানে না এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ কোন কালে ভালো ছিল? তারা কোনো কালেই ভালো ছিল না। তাদের ভদ্রতা বলতে কিছু নেই। এদের কাছে সুষ্ঠু কিছু আশা করা যায় না। অগ্নিসন্ত্রাস করে আওয়ামী লীগ আর দোষ চাপায় বিএনপির ওপর- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সমস্ত জাতি আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এটা শুধু বিএনপির আন্দোলন নয়, পুরো জাতির ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন।
ডিবিতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের খাবারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এগুলো হচ্ছে ডাইভারশন। আপনাদের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নাটক করছে।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আপনারা আরো দৃঢ় হন আরো দৃঢ়বদ্ধ হন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জন্ম থেকে সন্ত্রাসী দল। প্রাদেশিক পরিষদের ডেপুটি স্পিকারকে পিটিয়ে মেরেছিল তারা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ টানা ৭৩ দিন হরতালের সময় গানপাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। লগি-বইঠা দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। এই রাষ্ট্রকেও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে আওয়ামী লীগ।’
বিএনপি মহাসচিব নেতা–কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন। আমাদের এক কথা এক দাবি, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। উত্তাল আন্দোলনের ঢেউয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিএনপির জনসমর্থন দেখে ভয় পেয়েছে৷ এখন তারা অন্য পথে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ডিবি কার্যালয়ে খাওয়ানোর ছবি-ভিডিও প্রকাশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার প্রমাণ।
গয়েশ্বর চন্দ্র, আমানউল্লাহ আমানকে নতুন করে দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে হবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি নয়াপল্টনের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশ করবেবিএনপি নয়াপল্টনের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশ করবে
প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, বিএনপির প্রান্তিকবিষয়ক সম্পাদক অপর্ণা রায়, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি দেওয়ান সালাউদ্দিন প্রমুখ।