image

আপ্যায়ন করে সেটার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচায়ক। একধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক।

রবিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

গতকাল পুরান ঢাকার ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় গয়েশ্বর আহত হন। দুপুরের দিকে পুলিশ ভ্যানে করে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে গয়েশ্বর খাবার খান। বেলা তিনটার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে গয়েশ্বরকে নয়াপল্টনে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয় পৌঁছে দেওয়া হয়।

এরপরই ডিবি কার্যালয়ে গয়েশ্বরের খাবার গ্রহণের ভিডিও ও স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, গয়েশ্বরের প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছেন ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।

গয়েশ্বর বলেন, ‘যারা এ কাজটি করেছে, এটি অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচায়ক। একধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক। এতে কি সরকার প্রমাণ করতে চায় যে আমরা হাভাতে? ভিক্ষা করে খাই? গ্রামের ভাষায় বলা হয় “খাইয়ে খোঁটা দেওয়া”। ডিবি অফিসে আমার সঙ্গে যা করা হলো, তা ওই রকমই। আমার বাড়িতে তো বিভিন্ন সময় অনেক লোক খায়। এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। কিন্তু এই খাবারের ছবি উঠিয়ে কি আমি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেব? এটা কি আমার জন্য ভালো হবে?’

ডিবির পক্ষ থেকে যে খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল, সে খাবারও তিনি খাননি বলে জানান গয়েশ্বর। ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের বাসা থেকে আনা খাবার খেয়েছেন তিনি।

আপ্যায়ন করে সেটার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ন্যক্কারজনক আখ্যা দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকারের কোনো প্রলোভন গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না। সরকারের কাছে এত টাকা নেই যে গয়েশ্বরকে কিনতে পারে। সরকার গ্রেপ্তার করতে পারে, এমনকি প্রাণও নিতে পারে—এই শক্তি সরকারের রয়েছে। কিন্তু গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না।’