যুবদল নেতার কব্জি কেটে নেওয়া শেখ হাসিনার অবাধ সুষ্ঠু ভোটের নমুনা: রুহুল কবির রিজভী।
ঝিনাইদহে যুবদল একজন নেতার হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশজুড়ে রক্তাক্ত সহিংসতা চালাচ্ছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। মানুষের রক্ত ঝরানো ও যুবদল নেতার হাতের কব্জি কেটে নেওয়া শেখ হাসিনার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নমুনা! যারা রক্ত ঝরাতে পারে তাদের অধীনে কেমন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে তা সবার কাছেই অনুমেয়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত ও হাতের কব্জি কেটে নেওয়া ঝিনাইদহ জেলা যুবদলের সদস্য লিটন মন্ডলকে আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যে গণতন্ত্র ও মনুষ্যত্বের রাজনীতি করে না তার প্রমাণ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর রক্তাক্ত ও সশস্ত্র আক্রমণ। গতকাল নোয়াখালীতে বিএনপির পদযাত্রায় যেতে কুমিল্লার লাকসামে বিএনপি নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত ও অনেকগুলো গাড়ি ভাঙচুর করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। আসলে তারা মানুষের মানুষের রক্ত ঝরাতে পছন্দ করে। তবে দেশের মানুষ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন। এবার যেনতেন নির্বাচন করে সন্ত্রাসী কায়দায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। তাদের পতন অত্যাসন্ন।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, বিএনপির খুলনা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুল ইসলাম মাহবুব, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এমএ মজিদ, সহ-সভাপতি একেএম নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট এম কামরুজ্জামান (জামান), ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা. সায়েম আল মনসুর ফয়েজী, সোহেল খান, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, ছাত্রদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বাদশাহ, ঝিনাইদহ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক আসিফ ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সদস্য লিটন মণ্ডল শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আবু সাইদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লিটন মণ্ডলকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা গোস্ত কাটার ডাসা (চাপাতি) দিয়ে লিটনের একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে আর একটি হাত ও একটি পা কেটে ঝুলন্ত অবস্থায় ফেলে রেখে তাকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা হয়েছে।