image

নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় হাইকমিশনারের পতাকাবাহী গাড়ি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। সোয়া এক ঘণ্টা সময় বৈঠক করেন তারা।

বৈঠকে কানাডার হাইকমিশনের পলিটিক্যাল সেকশনের প্রধান ব্রাডলি কোটস (Bradley coates) ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিবের সাথে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার, শ্রম আইন, আইনের শাসন ও আগামী নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে দীর্ঘ আলাপ হয়েছে। এসব বিষয়ে অবশ্যই তাদের কনসার্ন আছে। তারা জানতে চায় যে, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কি করা দরকার এবং বর্তমানে পরিবেশ কি সেটা তারা (কানাডা) জানে, তারপরও তারা আমাদের কাছ থেকে জানতে চায়।’ তিনি বলেন, আমরা স্বাভাবিকভাবে বলেছি যে, বাংলাদেশে বর্তমান যে পরিবেশ তাতে গণতান্ত্রিক অর্ডার নাই, লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড নাই, বাকস্বাধীনতা নাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ। সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশে বর্তমানে এই সরকারের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, কানাডা দেশ হিসেবে ‘এস এ মিডল পাওয়ার’। নীতি নৈতিকতার দিক থেকে তারা কিন্তু ‘বিশ্বখ্যাত, তারা মানবাধিকার, আইনের শাসন, ভোটাধিকার এসব বিষয় নিয়ে তাদের যথেষ্ট ইন্টারেস্ট আছে এবং তাদের মুরাল গ্রাউন্ডটা অনেক উঁচুতে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন, মানবাধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাভাবিকভাবে কানাডার একটা কনসার্ন আছে এবং এই কনসার্নটাকে মাথায় রেখে আগামী নির্বাচন আরো বড় কনসার্ন। অন্যান্য দেশের মতো পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশের মতো কানাডার একটা বিশাল কনসার্ন রয়েছে আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে কি না। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সংসদ ও সরকার নির্বাচন করতে পারবে না এবং মানবাধিকার ইস্যুসহ শ্রম আইন ইত্যাদি নিয়ে তাদের (কানাডার) একটা বড় কনসার্ন আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে এখানে তো সব কিছু বলা সম্ভব না। তবে ন্যাচারেলি যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষণ করছে, কানাডাও বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, এতটুকু বলা যায়।