এবার চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলন হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৫ জুলাই) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সাথে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। সন্ধ্যায় প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরাচার সরকার গেল ১৫ বছর ধরে দেশের সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের সাথে পপ্রতারণা করে ২০১৪ অর ১৮ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাতেই সরকারি সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করে নির্বাচনে সকল ভোট তারা একতরফাভাবে নিয়ে গেছে। এতে আমাদের দেশের মানুষের যে নির্বাচনের অধিকার সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার করা ও মানুষের কথা বলা স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে নিশ্চিত করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের আলোচনা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আগামীকাল ১২ দলীয় জোটের সাথে বৈঠক। এরপর গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য দলগুলোর সাথে আলোচনা করে অতি শিগগির আমাদের সিদ্ধান্ত আপনাদের (সাংবাদিক) সামনে ঘোষণা করবো। আন্দোলনে সমস্ত মানুষ সম্পৃক্ত হবে এবং জনগণ তার অধিকার আদায় করে নেবে।
এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য যা যা করার দরকার আমরা সেটা করবো। আর আমরা বিএনপির সাথে একমত হয়েছি, যে কর্মসূচি দেবে, সেই কর্মসূচি আমরা মাঠে থেকে পালন করবো।
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য বেগম সেলিমা রহমান এবং ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃতে বৈঠকে ১১টি রাজনৈতিক দলের ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ড. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মণ্ডল প্রমুখ।