image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হাসিনা সরকারের লোকেরা বলে যে আমরা সহিংসতা করি। আমরা প্রমাণ করেছি যে আমরা সহিংসতা করি না। সহিংসতা আওয়ামী লীগ করে, পরে আমাদের ওপরে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে।


শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁয়ের কালীবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।


আন্দোলন নিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, এটা ইতিমধ্যে প্রমাণিত যে বিএনপি কিভাবে আন্দোলন করতে পারে। আন্দোলন কোন ছককাটা জিনিস না। এটাতে জনগণের সম্পৃক্ততার সাথে সাথে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সামগ্রিকভাবে সে আন্দোলন দানা বাঁধে। ইতিমধ্যেই এ সরকারের যত অপকর্ম, দুঃশাসন, দুর্নীতি এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে মানুষ আর এ সরকারকে দেখতে চায় না। এ সরকার আর সরকারের লোকেরাই আজ দেশে একটা বড় রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরী করে রেখেছে।



তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য খুব স্পষ্ট। হাসিনা সরকারের অধীনে আমরা কোনো ধরনের নির্বাচনে অংশ নেব না। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলছি, যারা আমাদের সাথে আসতে চান। দেশের মানুষ বুঝতে পারে তারা (আ’লীগ) কী রাজনীতির অনুশীলন করে।


তিনি আরো বলেন, বিএনপি নিজেদের জন্য নয় জনগণের মৌলিক অধিকারের জন্যই আন্দোলন করছে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়া, সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ও দলীয় কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়, এসব বিষয় নিয়েই আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নিরপেক্ষ সরকার দরকার। এই সব অধিকার আদায়ে কাজ করছে বিএনপি। গোটা পৃথিবী আজ বাংলাদেশের আন্দোলনকে সমর্থন করছে।


কর্মসূচি বিষয়ে তিনি বলেন, কর্মসূচী চলছে আমাদের। আগেও কর্মসূচি দিয়েছি আবারো নতুন কর্মসূচি আসবে। এবারেরর কর্মসূচীর ধরন কিছুটা আলাদা হবে। স্বাভাবিকভাবেই দিন দিন আমাদের জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে।


অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে সরকারের যোগ দেয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ব্রিকসেই যাক আর আইএমএফ এ যাক, হাসিনা সরকার কখনোই সফল হতে পারবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার দুর্নীতি রোধ করতে পারবে। আর এটা স্পষ্ট যে তারা দুর্নীতিতে এতটাই নিমজ্জিত হয়েছে যে সেখান থেকে তাদের বের হবার কোনো পথ নেই।


এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি নুর এ শাহাদাৎ স্বজন, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনসহ দলের অন্য নেতাকর্মী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।