image

দেশে ভয়াবহ এক পরিস্থিতি চলছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়াই বিএনপির লক্ষ্য।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের প্রধান সঙ্কট হলো গণতন্ত্র না থাকা। এই সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। ফের তারা ভোট চুরির নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে।


তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। আমরা দেখেছি বিশেষ করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এটা সম্ভব নয়। সে কারণে আমরা পরিষ্কার করে বলেছি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। যেন সেই নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারে এবং প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। এ কথাগুলো আমাদের দলের পক্ষ থেকে খুব পরিষ্কার করে বলা হয়েছে।

ফখরুল বলেন, আমাদের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ৬ শ’র অধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। ৪০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ একটি ভয়াবহ অবস্থা, ভিন্নমত পোষণ করার কোনো সুযোগ নেই। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। সে কারণে আমাদের দলের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি জানিয়েছি।


তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে যারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। সেই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো আজকে একসাথে হয়ে যুগপৎ আন্দোলন করছি। আমাদের লক্ষ্য গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এখানে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে চাই- এ কথাটি মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে মানুষের অধিকারকে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যে স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম জনগণের সামনে।


বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, রুমিন ফারহানা, কাদের গণি চৌধুরী, মীর হেলাল, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, ওলামা দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো: নেছারুল হক প্রমুখ।