image

বিএনপির বর্তমান লড়াই গণতন্ত্রের জন্য মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা কারও প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য লড়াই করছি না। গণতন্ত্র হরনকারীদের হাত থেকে জনগণকে উদ্ধারের জন্য লড়াই করছি। এটাই বড় প্রতিশোধ।


রবিবার (১৮ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য নেতার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশটি আয়োজন করে ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট, হাজারীবাগ থানা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠন।


গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা যদি গণতন্ত্র ফেরত পাই তাহলে হামলা, মামলা, গায়েবি মামলাসহ আপনি (শেখ হাসিনা) যা যা করেন তা করবো না। এটা আমাদের সমাজের বাইরে। এটা আপনাদের সমাজে থাকতে পারে।’


পাকিস্তানিদের গণতন্ত্র নেই বলেই আমরা তাদের বিদায় দিয়েছিলাম মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র জনগণের জন্য। গণতন্ত্রের জন্যই জনগণ যুদ্ধ করেছে, আমরা যুদ্ধ করেছি। ১৯৭১ সালে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে আমরা বিদায় করেছিলাম। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই এবং ফ্যাসিবাদকে বিদায় দিতে চাই।’


গয়েশ্বর বলেন, ‘এটা কিন্তু গণতন্ত্রের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কিন্তু অস্ত্র দিয়ে হয় না। অস্ত্র ছাড়াও যুদ্ধ হয়। জনগণের আন্দোলন আর সংগ্রামের অপর নামই যুদ্ধ। আমরা সেই যুদ্ধে লিপ্ত। সে জন্য আজ আমার মনে হয়, মুক্তির আন্দোলনের বাইরে আমরা পতনের আন্দোলনটা করি। যার পতন হলে দেশ মুক্তি পাবে, যার পতন হলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে, যার পতন হলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ মুক্তি পাবে। সুতরাং একজন-দুই জনের জন্য মুক্তি চাওয়ার দরকার কি? যে কাজটা করলে সবার মুক্তি হবে আমরা সেই কাজটা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবেই হোক নির্বাচন করতে পারবেন না। এমনকি সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা থেকে আপনাকে যেতে হবে। আমাদের কাছে অপশন একটাই– আমরা ষড়যন্ত্র রুখে দেবো, গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। গণতন্ত্র মুক্তি পেলে ১৮ কোটি জনগণ মুক্তি পাবে। আর জনগণ মুক্তি পেলে খালেদা জিয়াসহ যারা আটক আছেন তারা মুক্তি পাবেন।’


বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ। সুতরাং কেউ পৈত্রিক সূত্রে দেশের মালিক না যে তিনি যা বলবেন তা করতে হবে। তার জন্য আমাদের বাংলাদেশে জন্ম হয় নাই। তার জন্য আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করি নাই। তাই আবার সরকারকে বলবো এখনও সময় আছে ইচ্ছা করলে যেতে পারবেন। কিন্তু বেশি সময় নাই। তখন ইচ্ছা করলেও যেতে পারবেন না। দেশের মানুষ যা করবে তা আপনাদের শুনতে হবে।’


হাজারীবাগ থানার সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান মজুর সভাপতিত্বে এ সময় আরও ছিলেন বিএনপির ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ সংগঠনের নেতারা।