সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আস্সালামু আলাইকুম। সবাইকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।
বন্ধুরা,
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন-‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বাহানা। মামলার তারিখ পড়লেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন’। শেখ হাসিনার এই বক্তব্য অমানবিক ও চরম প্রতিহিংসার বহি:প্রকাশ। অর্থাৎ তাঁর প্রতিহিংসার ভান্ডার এতই বড় যে, প্রতিদিন তিনি অবান্তর, অসত্য, কটুবাক্যের স্রোত বইয়ে দিলেও তাঁর সেই ভান্ডার খালি হয় না। গতকালও কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে রিপোর্ট করেছে বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তাই তাঁকে আদালতে হাজির করা যায়নি। সরকারী-বেসরকারী এবং বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক’রা বলছেন তিনি অসুস্থ। তাহলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে নিয়ে শেখ হাসিনা সেটাকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে পারেন ? শেখ হাসিনা যখন কারাগারে ছিলেন তখন প্রতিদিন শুনতাম তিনি কানে শোনেন না, চোখেও দেখেন না, আরও কত কি। দিব্যি বেসরকারী হাসপাতাল স্কয়ারে নিজের পছন্দের চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য বিবেকবর্জিত ও বিনা চিকিৎসায় তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের জীবনকে সংকটাপন্ন করে দিতে চান। যেহেতু বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার মামলাগুলো চলমান, সুতরাং এই মামলাগুলোকে প্রভাবিত করতেই বেগম জিয়াকে নিয়ে শেখ হাসিনা বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য দিচ্ছেন। আমি দলের পক্ষ থেকে আবারও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
সাংবাদিক ভাই ও বোনোরা,
আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জনাব মাহমুদুর রহমান বহুদিন ধরেই সরকারের টার্গেট। মিথ্যা মামলা, দীর্ঘদিন কারাগারে আটক, রিমান্ডে নির্যাতন তিনি সহ্য করেছেন। কিন্তু গত রোববার তাঁকে শারীরিকভাবে আক্রমণ সামগ্রিক সরকারী সন্ত্রাসের প্যারাডাইম শিফট। এই রক্তাক্ত ঘটনায় প্রতিবাদী কলাম লেখক, বুদ্ধিজীবীদের শুধু মামলা ও কারাভোগই নয়, তাঁদের জীবনকেও সংকটাপন্ন করার বার্তা দেয়া হলো। কুষ্টিয়ায় আদালত প্রাঙ্গনে তাঁকে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করার পৈশাচিক ঘটনা পূর্ব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। যেন শিকারকে বহুদিন ধরে অনুসরণ করা হচ্ছিল চূড়ান্ত আঘাত হানার, ক্ষমতাসীনরা যেটির মোক্ষম সুযোগ পেলো কুষ্টিয়ার আদালত প্রাঙ্গনে। মাহমুদুর রহমানের ওপর এই রক্তাক্ত আঘাত সরকার প্রধানের ক্রুদ্ধ প্রতিশোধের বহি:প্রকাশ। কুষ্টিয়া পুলিশের প্রযোজনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ মাহমুদুর রহমানের ওপর রক্তাক্ত হিংস্র আক্রমণের মহড়া দিলো।
একজন মাহমুদুর রহমানকে কেন এভাবে প্রতিশোধের বিষাক্ত তীর নিক্ষেপ করছে ক্ষমতাসীনরা ? কারণ তাঁর লেখনিতে নির্দয় জালিম’রা কেঁপে ওঠে। অবিচার-জুলুমের শৃঙ্খল ভাঙতে তাঁর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা অবৈধ শাসকগোষ্ঠী উদ্বিগ্ন করে তোলে। অবৈধ ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে সমালোচনার অভিযোগে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে স্থানীয় ছাত্রলীগ সভাপতি। দেশব্যাপী শিশুদের ঘুম পাড়ানিয়া আতঙ্কের নাম ছাত্রলীগ। এরা এখন ভয়ঙ্কর আগ্রাসী নব্য বর্গীবাহিনী। তারা নেকড়ের মতো ধেয়ে এসে কোর্ট প্রাঙ্গনে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান নেয়। তারা অবরুদ্ধ করে মাহমুদুর রহমান ও তাঁর সফর সঙ্গীদের। এর কয়েক ঘন্টা পর সরকারী লোক’রা তাঁকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বের করে গাড়ীতে তোলার সময় সেই নব্য বর্গীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে রক্তাক্ত করে।
এই সন্ত্রাসী আক্রমণের নির্দেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দেয়া হয়েছে সেটির প্রমান-
ক) মাহমুদুর রহমান অবরুদ্ধ থাকার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি দেখছি বলে এড়িয়ে যান।
খ) কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সকল বিচারক বৈঠক করে তাঁর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেন। তাঁরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন-মাহমুদুর রহমানকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। কিন্তু বিচারকদের নির্দেশ পালিত হয়নি।
গ) বিকেল ৪-৩০টার পর আদালতে নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাহমুদুর রহমান সাহেবকে নব্য বর্গীদের হাতে তুলে দেয়।
ঘ) বেলা ১২টার মধ্যে জামিন হওয়ার পর থেকে তিনি অবরুদ্ধ, তখন থেকে বিকেল ৪-৩০টা পর্যন্ত সারা দুনিয়ায় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ এগিয়ে আসেনি।
ঙ) মাহমুদুর রহমানকে নিরাপত্তা দিতে ম্যাজিষ্ট্রেট এর নির্দেশ স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকাশ্যে অমান্য করে।
সুতরাং এটি সম্পূর্ণভাবে পরিস্কার-মাহমুদুর রহমানের ওপর নৃশংস আঘাত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত।
লোভ, লালসা, ডাকাতি, রাহাজানী, দখল যাদের চেতনা তাদের মধ্যে কখনোই মনুষ্যত্ব জেগে উঠবে না। এজন্য মুক্ত চিন্তার মানুষ’রা সরকারী সশস্ত্র আক্রমণের লক্ষ্য। আমি আবারও বিএনপি’র পক্ষ থেকে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও তাঁকে রক্তাক্ত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দুস্কৃতিকারিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
ক্ষমতাসীন দলের এমপি ও মন্ত্রী পদমর্যাদার নেতারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিন সিটি নির্বাচনে। সড়ক-মহাসড়ক দখল করে নির্বাচনী সভা-সমাবেশ করছেন তারা। বড় পিকআপ ভ্যানে বিশাল কালার মনিটর লাগিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনে এসব অভিযোগ দেয়ার পরেও তারা সরকারের মুখ চেয়েই কাজ করছে। বর্তমানে ইলেকশন-গেট কেলেঙ্কারীর মূল হোতা আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনগুলোকে অন্যায়ভাবে সরকারের অনুকুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি বারবার উপেক্ষা করছে কমিশন। এই নির্বাচন কমিশনের কাছে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা অরন্য রোদন, গল্পকথা মাত্র। গণতন্ত্র মানে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সম্মতির ভিত্তিতে শাসন। আর এই গণসম্মতির প্রতিফলন ঘটে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। যে নির্বাচন স্বাধীন ক্ষমতাবলে নিরপেক্ষ দক্ষতার সাথে পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বর্তমান কমিশন সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারছে না। সরকারী ভোট সন্ত্রাসের বৈধতা দেয়ার সিলমোহর হয়ে নির্বাচন কমিশন একের পর এক যে পর্বতপ্রমান অন্যায়গুলোকে জায়েজ করছে। নিত্য নতুন মডেল তৈরী করার জন্য একদিন তাদের চড়া মাশুল দিতে হবে।
সাংবাদিক বন্ধুরা,
সারাদেশে বন্দুকযুদ্ধের নামে চলছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, এরই অংশ হিসেবে সোনারগাঁওয়ে ছাত্রদল নেতা আলমগীর হোসেন বাদশা র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। আমি এই নৃশংস ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং নিহতের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
বন্ধুরা,
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর আইনজীবী সমর্থকগণ কর্পোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় মিছিল ও শোভাযাত্রা করছে। এই মিছিলে পাবলিক প্রসিকিউটর, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এবং স্পেশাল পিপিগণ অংশগ্রহণ করেছেন, যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার পরও তারা কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় আমি দলের পক্ষ থেকে নিন্দা জানাচ্ছি, অবিলম্বে নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর আহবান জানাচ্ছি।
অনুরুপভাবে রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও চলছে ব্যাপক অনিয়ম ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক। উক্ত দু’টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকারী কর্মকর্তারাও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকা মার্কার পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে।
গত পরশু দিন সিলেটে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দু’টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে সহজে ভোট কারচুপি করার জন্যই এই মামলা দায়ের।
আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ধানের শীষ প্রতীক সমর্থকরা হেনস্তার শিকার হচ্ছে। আটককৃত মনোনীত পোলিং এজেন্টসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজশাহী ও রাজশাহী মহানগরীর বাহিরের বিভিন্ন থানার মামলায় চালান করে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অজ্ঞাত নামা মোবাইল নং-০১৭১০৪৩৪৩০১ থেকে ফোন করে নির্বাচনী এজেন্ট ও রাজশাহী জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী মোসাঃ রোকসানা বেগম টুকটুকি-কে বলা হয়-সে নির্বাচনী প্রচারণা করলে পুলিশ দিয়ে তাকে ধরিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। টুকটুকি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে মতিহার থানা একটি সাধারণ ডায়েরী করে।
২৩ জুলাই ১৬ নং ওয়ার্ড ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীর প্রচার কাজে উক্ত ওয়ার্ড যুবলীগ কর্তৃক বাধা ও হুমকি প্রদান করা হয়। গত ২৩ জুলাই রাতে ১৯ নং ওয়ার্ডে ধানের শীষের ০৮টি ফেস্টুন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। গতকাল রাতে ধানের শীষের ৯ নং ওয়ার্ড নির্বাচনী কার্যালয় ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
রাজশাহীতে আটককৃত বি.এন.পি কর্মী ও সমর্থকদের নামের তালিকা-
দিলদার হোসেন জনি, বোরহান উদ্দীন লিটন, মোঃ মেরাজ; মোঃ নুরুল ইসলাম; মোঃ আমিনুল ইসলাম; মোঃ শের আলী (পোলিং এজেন্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত), আব্দুস সেলিম, মোঃ সেলিম; মোঃ ইয়াসিন আলী; মোঃ পিয়াল হায়দার আবু, জয়নুল আবেদীন শিবলী; মইনুল হক হারু, হাফিজুল ইসলাম আপেল; খন্দকার ওয়ায়েশ করণী ডায়মন্ড; মোঃ গোলাম নবী গোলাপ, ইফতিয়ার মাহমুদ বাবু; জাহাঙ্গীর আলম লাবলু, শামীম আহমেদ, নুরনবী মুক্তার, ইব্রাহিম হোসেন বাচ্চু, মোঃ রানা, মোঃ ডোমেন, মোঃ সাজ্জাদ আলী, মোঃ মারুফ, আবুল কাশেম; আল আমিন বিদ্যুৎ; মোঃ মফিজ উদ্দীন, মোঃ শাহরিয়ার হোসেন নয়ন,মোঃ জুয়েল, মোঃ টিপু, মোঃ সাবদুল, মোঃ সাইফুল, মোঃ ইকবাল, মোঃ রাহাত হোসেন; মোঃ বাবু, মোঃ মনিরুল ইসলাম মনা, মোঃ হাসনাত, মোঃ শাইরুল, মোঃ পলাশ, মোঃ তুষার, মোঃ ফজলুল হক, মোঃ টিয়া প্রমূখ। আমি তাদেরকে আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে তাদের নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
বন্ধুরা,
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে।
আটককৃত নেতাকর্মীদের নামের তালিকাঃ –
সাইফুর রহমান নয়ন-সহ-সভাপতি জেলা ছাত্রদল, আবদুল হাই টিটু-সভাপতি ৬নং ওয়ার্ড যুবদল, আল আমিন-সাধারণ সম্পাদক শহর ছাত্রদল ,ফজলুল হক ফজলু-সাংগঠনিক সম্পাদক ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপি, রবিউল আলম-সাংগঠনিক সম্পাদক ১২ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দল, সোহাগ-যুগ্ম সম্পাদক ১২ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল, আবছার কামাল, সভাপতি ১২নং ওয়ার্ড ছাত্রদল, মোহাম্মদ ইউসুফ-সভাপতি ১২নং ওয়ার্ড শ্রমিক দল, ফারুক-সদস্য ১২ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল, রাসেল-সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ১১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল, আবদুর রশিদ-সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা যুবদল, অলি আহমদ-সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহর ছাত্রদল,হামিদ-সদস্য ১২ নং ওয়ার্ড যুবদল।
আমি দলের পক্ষ থেকে উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়া নোয়াখালী জেলাধীন বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচন-২০১৮ উপলক্ষে সেখানে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তান্ডব চলছে। গত ২৩ জুলাই ২০১৮ রাত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা, বোমাবাজী, এজেন্টদেরকে হুমকি এবং পোষ্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে ছয়ানী ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচন ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি করছি।
বন্ধুরা,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পূর্ব এর সভাপতি খন্দকার এনামুল হক-কে বারবার রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমি তাকে বারবার রিমান্ডে নেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে রিমান্ড বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট ও অসত্য মামলা প্রত্যাহার করে নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।