শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-

বাণী
”শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ নুর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি। 
আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নুর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে পিঠে ’গনতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ শ্লোগান লিখে। গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের কন্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নুর হোসেন। নুর হোসেনের সে অবদান বৃথা যায়নি। তার রক্তের ধারা বেয়েই ’৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র। 
যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে জীবন উৎসর্গ করে ছিলেন নুর হোসেন, তাঁর সে স্বপ্ন আজো পুরোপুরি সফল হয়নি। ১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃংখলিত হয়েছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী একতরফা নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে। ২০১৮ সালেও আরেকটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পাঁয়তারা করছে ক্ষমতাসীনরা। ষড়যন্ত্র চলছে এদেশ থেকে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে দেয়ার, একতরফা নির্বাচন করে একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থার নব্য সংস্করণ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। পূনরায় স্বৈরাচারী শক্তির একতরফা নির্বাচনের চক্রান্ত্র রুখতে হবে যে কোনো মূল্যে।

আজও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নুর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য আমাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।

আজকের এই দিনে আমি দল-মত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহবান জানাই-আসুন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।

আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”

শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-
বাণী
”শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মহান শহীদ নুর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি। 
গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে গিয়ে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরশাসকের তপ্ত বুলেটের শিকার হয়েছিলেন নুর হোসেন। সেদিন তার আত্মত্যাগ এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছিলো। নুর হোসেনের আত্মদানের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে সংঘটিত হয়েছিলো সফল ছাত্র গণঅভ্যুত্থান। পতন হয়েছিলো নির্দয় স্বৈরশাসকের, মুক্ত হয়েছিলো বহুদলীয় গণতন্ত্র। 
নুর হোসেনের সেই আত্মদানকে আমরা বৃথা যেতে দিতে পারিনা। নব্বইয়ে অর্জিত গণতন্ত্রের পথচলাকে আবারো বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। এই বাধা দুর করে আমাদেরকে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। নুর হোসেনের মতো সাহসিকতা নিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকের এই দিনে এটাই হোক আমাদের শপথ। 
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”

(এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

Torna su