বাণী
“মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
মওলানা ভাসানী আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক প্রাতঃস্মরনীয় নাম। সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের প্রবাদ পুরুষ মওলানা ভাসানী ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপ-মহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পক্ষে তিনি আপোষহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন। ’৫০ এর দশকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম সুর ধ্বণিত হয়েছিল তাঁর কন্ঠে। তিনি দেশবাসীকে প্রথম স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছলেন। মাওলানা ভাসানী দেশমাতৃকার মুক্তির পথ প্রদর্শক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতার ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন প্রদীপ্ত এক আলোকবর্তিকা। তাঁর অবস্থান ছিলো শোষনের বিরুদ্ধে শোষিতের পক্ষে। অধিকার আদায়ে তিনি এদেশের মানুষকে সাহস যুগিয়েছেন তাঁর নির্ভিক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের দ্বারা। তাঁর হুংকারে কেঁপে উঠত অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর মসনদ। জাতীর ভয়াবহ দুর্দিনে তিনি জনস্বার্থের পক্ষে থাকতেন আস্থা ও বিশ্বাসের অবলম্বন হিসেবে।
অসহায় মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী আমাদের প্রেরনার উৎস। তাঁর নিখাদ দেশপ্রেম, দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষা এবং গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে যুগ যুগ ধরে আমাদেরকে অনুপ্রানিত করবে। তাঁর আদর্শকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলেই আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো। এদেশে আবারও গণবিরোধী শক্তি গায়ের জোরে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রে স্বীকৃত মানুষের সকল স্বাধীনতাকে হরণ করে নিয়েছে। জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে দেশবিরোধী কর্মকান্ডের মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশকে যেদিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে তাতে জাতীয় স্বাধীনতা বিপন্ন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনই কোন না কোনভাবে আগ্রাসী শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ, মাটি, মানুষ ও সংস্কৃতির ওপর চলছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিরবচ্ছিন্ন আগ্রাসন। তাই এই মূহুর্তে আধিপত্যবাদী শক্তি এবং তাদের এদেশীয় প্রতিভূদের রুখতে মওলানা ভাসানী প্রদর্শিত পথই আমাদের পাথেয়। আমরা সেই পথেই অপশক্তির অশুভ ইচ্ছাকে পরাস্ত করতে সক্ষম হবো।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-
বাণী
“মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
মওলানা ভাসানী ছিলেন আফ্রো-এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের কন্ঠস্বর। তিনি ছিলেন বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে উচ্চকিত কন্ঠ। মওলানা ভাসানী মজলুমের বন্ধু, সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদ এবং অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠির বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদী কন্ঠস্বর।
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী যুগ যুগ ধরে আমাদেরকে প্রেরনা জোগাবে, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। আজকে এই দিনে আমি মওলানা ভাসানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যানে আত্মনিবেদিত হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
(এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।